জাহাজে সেভেন মার্ডারের পর খুনির ডিম খিচুড়ি ও জ্যাকেট ক্রয়
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭ খুনের দায়ে আটক মো. ইরফান খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে নতুন জ্যাকেট কিনে তা পরে ডিম খিচুড়ি খেয়েছিলেন। ঠান্ডা মাথার খুনি ইরফান পরে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিক জানান, ইরফানের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকল স্থানসহ সব কিছুই উদঘাটন করছি। রিমান্ড চলছে এবং রিমান্ড শেষেই সব জানানো হবে। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিন রাত ৯টায় নৌপুলিশ ইরফানকে গাড়ি করে নিয়ে আসেন চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা রোডে। যে দোকানে সে ডিম খিচুড়ি খেয়েছিল। নতুন জ্যাকেট যে দোকান থেকে কিনেছিল তা দেখিয়ে দেন। এ সময় ইরফানকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে গেলে নৌপুলিশ প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই শেষে ইরফানকে গাড়িতে উঠিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে রাস্তার পাশের হক বিরিয়ানি দোকানের মালিক মো. সবুজ বলেন, ‘এই ছেলেটি এসে বলেন, কম দামে কী পাওয়া যায় ? আমি বললাম, ৫০টাকা দামের ডিম খিচুড়ি রয়েছে। পরে সে ডিম খিচুড়ি খেতে চাইলে আমি সুন্দর মতো প্লেটে বেড়ে দেই। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি এই ছেলেই এতো বড়ো খুনের ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে।’
এ সময় জনতা ক্লথ স্টোরের মালিক মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘শীতে কাতর এই ছেলে এসে একটি জ্যাকেট কিনতে চায়। পরে ৯৩০ টাকা দিয়ে আমার দোকান থেকে সে জ্যাকেট ক্রয় করে। ধরা পড়ার সময়ও আমার দোকানের জ্যাকেটটিই তার গায়ে ছিলো। কিন্তু সে যে এতো বড়ো ঘটনা ঘটিয়ে এসেছিলো তা বুঝিনি।’
গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার পর্যন্ত যে কোনো সময়ে চাঁদপুরের হাইমচর ঈশানবালা মনিপুর টেক খালপাড় সংলগ্নে জাহাজে সাতজন খুনের ঘটনা ঘটে । এমডি আল বাখেরা কার্গো জাহাজটি ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম কাফকো জেটি থেকে ইউরিয়া সার বোঝাই করে চাঁদপুর মেঘনা নদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। জাহাজটিতে মাস্টারসহ ৯ জন স্টাফ ছিল। ২৩ ডিসেম্বর সকালে খুনের ওই ঘটনা সামনে আসে। এতে এমডি আল বাখেরা জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী খুন হন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন জাহাজের সুকানি জুয়েল।
২৫ ডিসেম্বর বাগেরহাটের চিলমারী থেকে র্যাবের হাতে আটক হয় জাহাজের খালাসি ইরফান। ওই দিন বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। সেখানেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
বেতনভাতা, রাগ ও ক্ষোভের থেকে একাই খালাসি ইরফান সাতটি খুন করেন। সবাইকে ঘুমের ওষুধ রাতের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ান। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জাহাজের মাস্টারকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার কিলিং মিশন। পরে ধরা পড়ার ভয়ে একে একে আরও ছয়জনকে সে হত্যা করে। আরেকজনকে একই কায়দায় আঘাত করলেও ওই সময় মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার মতো বড় আঘাত না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান জুয়েল। তার শনাক্তের কারণেই চাঞ্চল্যকর সাত খুনের রহস্য উন্মোচিত ও খুনি চিহ্নিত হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দোয়ারাবাজারে কুরআন অবমাননার মূল হোতা রিংকু দেব আটক
ঢাবি সাদা দলের নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ
এবার ১৫৭ রানেরই শেষ আফগানিস্তান
চীনে অ্যাপলের নতুন কৌশল, আইফোনে অবিশ্বাস্য ছাড়
গণভবন ছেড়ে পালানোর ঘটনা পাঠ্যবইয়ে
রংপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
ব্যালন ডি’অর: রোনালদোর প্রশ্ন তোলা নিয়ে যা বললেন রদ্রি
বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তমে, শীর্ষে হ্যানয়
ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
সিরাজদিখানে কাভার্ড ভ্যানকে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
ছাগলনাইয়ায় ইউএনও রিগ্যান চাকমার শীতবস্ত্র বিতরণ
ক্যালিফোর্নিয়ায় বাণিজ্যিক ভবনে বিমান আছড়ে পড়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১৮
মোরেলগঞ্জে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, জুবুথুবু পানগুছি নদীর দুপাশের জনজীবন
ফরিদপুরে ১৩ বছরের কিশোরকে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই
জাবি শিবিরের নতুন সভাপতি মুহিব, সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান
নিউ অর্লিন্স হামলার শিকার পরিবারে শোকের ছায়া
মানিকগঞ্জে অটোবাইকের চাপায় এক বৃদ্ধ'র মৃত্যু
পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ কেন মনমোহন সিংকে শ্রদ্ধা জানালেন না ?
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
সঙ্গীকে উষ্ণ আলিঙ্গন খুব প্রয়োজন- কৃতি শ্যানন